ফেসবুকে আয় অথবা ফেসবুক থেকে আয় করার অসংখ্য কার্যকরী উপায় রয়েছে, এর মধ্যে আপনার দক্ষতার সাথে মিল রেখে কাজ নির্বাচন করে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারেন যেকেউ। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় প্রশ্নের উত্তর জানবেন এই পোস্টে।
ফেসবুক পেজ থেকে আয়
ফেসবুক পেজ থেকে কত উপায়ে আয় করা সম্ভব তা বলে শেষ করা যাবেনা। ফেসবুকের “পেজ” ফিচারটি আয় এর অসাধারণ একটি মাধ্যম হতে পারে যদি আপনি এটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমত ফেসবুক পেজে যদি যথেষ্ট অডিয়েন্স থাকে, তাহলে ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে নিউজ শেয়ার করে আয় করতে পারেন। আবার আপনার যদি ব্লগ থাকে তাহলে ব্লগে এডসেন্স নিয়ে তার পোস্ট ফেসবুক পেজে প্রোমোট করতে পারেন।
ফেসবুক পেজে প্রোমোশনাল পোস্ট এর মাধ্যমেও আয় করা যেতে পারে। আবার ফেসবুকে পেজ এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করেও টাকা আয় করা যেতে পারে। আপনার ফেসবুক একাউন্টে লাইভস্ট্রিম এর মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। অর্থাৎ ফেসবুক পেজ থেকে আয়ের অসংখ্য পথ রয়েছে, শুধু আপনাকে সঠিক পথ খুঁজে নিতে হবে।
মার্কেটপ্লেস থেকে ফেসবুকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে নতুন ও পুরাতন, সকল পণ্য বিক্রির সুযোগ রয়েছে। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সেল করা প্রোডাক্ট চাইলে মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন, যেখান থেকে ইচ্ছুক ক্রেতারা সহজে আপনার প্রোডাক্ট কিনতে পারবে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয়ের আরেকটি উপায় হতে পারে প্রোডাক্ট ফ্লিপিং, অর্থাৎ অন্যদের থেকে প্রোডাক্ট কিনে তা পুনরায় বিক্রি করা। তবে এই কাজে যথেষ্ট দক্ষতা, ঝুঁকি ও ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া আপনার হাতের কাছে থাকা অব্যবহৃত জিনিস মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে ফেসবুকে আয় করতে পারবেন।
ভিডিও আপলোড করে ফেসবুকে টাকা আয়
ইউটিউবের মত ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়ের উপায় রয়েছে। মূলত ইউটিউব এর মত ভিডিওতে এড দেখায় ফেসবুক ও সেই রেভিনিউ ক্রিয়েটরদের সাথে শেয়ার করে। তবে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে হলে প্রথমত কনটেন্ট আপনার নিজের হতে হবে, এবং অবশ্যই ফেসবুক প্রদত্ত নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে ও শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে।
প্রোফাইল, পেজ ও গ্রুপে শেয়ার করার অপশন থাকায় ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়ের অধিক সুবিধা রয়েছে। ফেসবুকে ভিডিও বড় অডিয়েন্সের কাছে পৌছানো তেমন একটা কঠিন নয়। যদিও ফেসবুক প্রদত্ত শর্তগুলো অর্জন করা তুলনামূলক কঠিন। তবে আপনি যদি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হোন, তাহলে অবশ্যই ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে আয় করার চেষ্টা করতে পারেন। সম্প্রতি ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও আয়ের সুযোগ এসেছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুকে টাকা আয়
যেকোনো মাধ্যমে আয়ের একটি কার্যকরী উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। মূলত অন্যজনের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে কমিশন পাওয়াকে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে থাকি। এই প্রোডাক্ট হতে পারে কোনো বই এর মত ফিজিক্যাল বা কোর্স এর ডিজিটাল প্রোডাক্ট। দেশী-বিদেশী অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন মোটা অংকের অর্থ।
অ্যামাজন এর মত বিদেশী প্ল্যাটফর্মগুলোর পাশাপাশি ১০মিনিট স্কুল ও দারাজ এর মত বাংলাদেশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট আছে যেগুলো প্রোডাক্ট ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রোমোট করে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারেন। তবে প্রোডাক্ট প্রোমোশনে বাড়াবাড়ি রকমের স্পামিং করা উচিত নয়। কেউ কোনো প্রোডাক্ট সাজেশন তাইলে রিলেভেন্ট সাজেশন দিয়ে অর্গানিক উপায়ে প্রোমোশন চালাতে পারেন।আবার বিভিন্ন গ্রুপে ব্যবহৃত প্রোডাক্টের রিভিউ এর সাথে অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করেও প্রোমোশন চালানো যেতে পারে। মোট কথা স্পামিং না করে সাধারণভাবে প্রোমোশন চালালে সেটি পাঠক ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনারও উপকারে আসবে।